Powered By Blogger

Friday, September 9, 2011

BANGALI SAMAJER CHURANTO ABOKKHAY...... KINTU KATOJAN KARBE ER PROTIBAAD....????

ম্পূর্ণ উন্মুক্ত পাওলি!
পর্দায়, সরাসরি ক্যামেরার সামনে এক দুঃসাহসী শয্যা-দৃশ্যে
বাঙালি নায়িকার লজ্জায় অবনত ভাবমূর্তি ছুড়ে ফেলে বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এই প্রথম কোনও নায়িকা এত অনায়াসে নিজেকে, নিজের শরীরকে ভাবে মেলে ধরেছেন ক্যামেরার সামনে একটা পুরোদস্তুর ওষ্ঠ-চুম্বন কিংবা ধরাবাঁধা শয্যা-দৃশ্যই যে ইন্ডাস্ট্রিতে ঝড় তোলে, সেখানে এক বাঙালি নায়িকা সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে ক্যামেরার সামনে এসেছেন! আড়ালে-আবডালে ধরা ক্যামেরা নয় সামনে থেকে তা সোজাসুজি ধরেছে যৌনলীলায় মত্ত পাওলির নিরাবরণ শরীরকে! দীর্ঘ প্রায় চার মিনিট ধরে!
শুধু বাংলা ছবি কেন, ভারতবর্ষের সিনেমার ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কোনও অভিনেত্রী ক্যামেরার সামনে এতটা সাহসী হতে পেরেছেন কি?
সম্পূর্ণ নগ্ন পাওলি এই দৃশ্যে বিছানায় তাঁর ভালবাসার মানুষের সঙ্গেওরাল সেক্স’- রত এমন দৃশ্য বাঙালি যে দেখেনি, তা নয় তবে সে সব ফিল্মোৎসবের বিদেশি সিনেমায় আর এখন ইউ টিউবের দৌলতে বাংলা ছবিরই সেই রকম এক দৃশ্য নিয়ে টালিগঞ্জে তুমুল চর্চা!

কোনওবডি ডবলনয়মরফিং’- নয় দৃশ্যটিতে যে দুজন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে দেখা যাচ্ছে, তাঁরা সত্যিই পাওলি অনুব্রত দ্বিভাষিক ছবিমাশরুম’ (ইংরেজি) এবংছত্রাক’ (বাংলা)- শ্রীলঙ্কার পরিচালক বিমুক্তি জয়াসুন্দরের এই ছবির জন্যই পাওলি দাম কান চলচিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে হেঁটে এসেছেন
তবে সে তো মাস আগের কথা। ছবির দৃশ্যটি বৃহস্পতিবার ইউ টিউবে এসে যাওয়ার পরে টালিগঞ্জের আলোচ্য বিষয় শুধু সেটাই। যাঁকে ঘিরে এত শোরগোল, তিনি কী বলছেন?
বিক্রম ভট্টের ছবির কাজে আপাতত মুম্বইবাসী পাওলির সোজাসাপটা জবাব, “হ্যাঁ, ওটা আমিই। কোনও বডি ডবল বা মরফিং নেই। সিন্ক সাউন্ডে দৃশ্যটা তোলা হয়েছিল বোলপুরে।আরবিতর্কপ্রসঙ্গে নায়িকার প্রতিক্রিয়া, “ছবিটা দেখলেই বুঝবেন, দৃশ্যটা মোটেও আরোপিত নয়। আমার চরিত্রের মেয়েটি কলকাতায় থাকে, বয়ফ্রেন্ড দুবাইয়ে। মেয়েটি তাকে মিস করে। এবং শারীরিক তাগিদে ক্রমশ জড়িয়ে পড়ে আর একটি ছেলের সঙ্গে। এমন তো হামেশাই হয়, তাই না?” খোলাখুলি নগ্নতার প্রসঙ্গে পাওলির পাল্টা প্রশ্ন, “যদি বিছানায় যৌনতার সময়ে আমাদের গায়ে কাপড় না-থাকে, তা হলে পর্দায় সেই চরিত্রে অভিনয়ের সময়ে গায়ে কাপড় রাখতে হবে কেন? বিদেশি ছবিতে তো এমন কৃত্রিমতা থাকে না!”
জানা গিয়েছে, দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করার সময়ে পাওলি-অনুব্রত ছাড়া সেটে ছিলেন শুধু সিনেমাটোগ্রাফার চান্না দেশপ্রিয় এবং পরিচালক বিমুক্তি। বস্তুত দৃশ্যটি এতটাই বোল্ডযে, বিদেশে চললেও দেশে তার সেন্সর-ছাড়পত্র পাওয়া মুশকিল বলে অনেকে মনে করছেন। অন্য দিকে পাওলির আশা, এই বিশেষ দৃশ্যই বাংলা ছবিকে আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে সাবালক হতে সাহায্য করবে।এখনকার বাংলা ছবি আন্তর্জাতিক স্তরে অনেক পিছিয়ে। হলিউডে দেখুন। কেট উইনস্লেটদের ক্যামেরার সামনে নগ্ন হতে কোনও সমস্যা হয় না! অথচ বাংলায় বাস্তবসম্মত ভাবনা না-ভেবে শুধু দক্ষিণ ভারতের ছবি কপি করতেই ব্যস্ত সবাই।আক্ষেপ করছেন তিনি।
পাওলির হাত ধরেই কি তা হলে বাংলা ছবির নায়িকাদের প্রকৃতসাবালকহওয়া শুরু হল? বছর আগের কথা। এই বাংলা ছবিরই এক বিখ্যাত নায়িকা বিদেশবাসী মহিলার চরিত্র নিয়েও পর্দায় চুমু খেতে অস্বস্তি বোধ করায় দৃশ্যটাই বাদ দিতে হয়েছিল।ঘরে বাইরেতে স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অভিনীত বিমলা সন্দীপ (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়)-কে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু খাওয়ায় তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল।জন অরণ্য’-তে মহিলার অন্তর্বাস পর্দায় দেখা যেতেই উস্কে দিয়েছিল বাঙালির শুচিবায়ু। আর আজ? বাংলা ছবির নায়িকা শরীর নিয়ে এতটাই স্বচ্ছন্দ যে, ‘ওরাল সেক্স’-এর তৃপ্তিকে পর্দায় তুলে ধরাটাকেও তিনি স্রেফ অভিনয়ের অঙ্গ হিসেবেই ধরছেন! একে কিবৈপ্লবিকবলা যায়? ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অবশ্য বলেন, “এমন দৃশ্যে অভিনয় করাটা কোনও এক জন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হতেই পারে। তবে দৃশ্যটা সম্বন্ধে যা শুনলাম, তাতে মনে হয় একটু বাড়াবাড়ি হয়েছে। আমাদের দর্শকেরা এমন দৃশ্যের জন্য এখনও প্রস্তুত নন।
ভারতীয় দর্শককেসাবালককরার কাজটা দেবিকা রানি শুরু করেছিলেন সেই ১৯৩৩ সালে, কর্মা ছবিতে। পর্দায় নায়িকার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু খাওয়া সেই প্রথম। ক্রমশ হিন্দি ছবিতে যৌনতার পরিমাণ বাড়লেও নায়িকার শরীর নিয়ে
জু স্বাভাবিকতা আসেনি। আর বাংলায় এক-আধটাপরমা’, ‘থার্টি সিক্স চৌরঙ্গি লেন’, ‘অন্তরমহলবাবাড়িওয়ালিতৈরি হলেও নায়িকার শরীর নিয়ে ছুৎমার্গ যেখানে ছিল, সেখানেই থেকে গিয়েছে বলে অনেকের অভিমত। তাঁদের মতে, এই কারণেই সুইৎজারল্যান্ড বা ব্যাঙ্ককে হরবখত শু্যটিং করতে যাওয়া বাংলা সিনেমার নায়িকা মিনিস্কার্ট পরে নাচতে শিখলেও নিজের শরীর নিয়ে স্বচ্ছন্দ হতে শেখেনি।
পরিচালক বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি আবারছত্রাক’-এর কার্যনির্বাহী প্রযোজকও, বলছেন, “পাওলি একটা নতুন ধারা শুরু করল তো বটেই! তবে - ঠিক যে, আগে এই ধরনের ভিন্নধর্মী ভারতীয় ছবি শুধু এনএফডিসি- প্রযোজনা করত। ফলে এমন কোনও দৃশ্য থাকলে সে ছবি প্রযোজনাই করা হত না। এখন ইন্টারনেটের জমানায় ফেস্টিভ্যাল-কতৃর্পক্ষ দর্শকের সঙ্গে আমাদের একটা সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ ঘটছে। ফলে বাংলায়গান্ডু মতো ছবি হয়েছে।ছত্রাক’-এর ওই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে ইউ টিউবে।
বস্তুতছত্রাক’-এর শয্যা-দৃশ্যের ক্লিপিং নিয়ে উত্তেজনার পারদ মিনিটে মিনিটে চড়ছে। পাওলিও বলছেন, “ রকম একটা দৃশ্য বাংলা ছবিকে দিয়ে যদি আমি কপি-সিনেমা তৈরির প্রবণতা আটকাতে পারি, তা হলে সেটা হবে আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।তবে তাঁর এইউচ্ছ্বাস’-এর সঙ্গে পুরোপুরি সহমত নন কেউ কেউ। যেমন, বাণিজ্যিক টালিগঞ্জের অন্যতমহিটপরিচালক রাজ চক্রবর্তীর কথায়, “বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী পাওলি। বহু পরিচালক ওঁকে নিয়ে ছবি করার কথা ভাবেন। তবেবোল্ডনেসদেখানোর এটাই শেষ কথা কি না আমার জানা নেই!”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ উইমেনস স্টাডিজ-এর অধিকর্তা শমিতা সেন আবার বলেন, “আমার মনে হয় না, এমন একটা দৃশ্য হয়েছে বলেই বাংলা ছবির নায়িকাদের সম্পর্কে ধরাবাঁধা ধারণাটা পাল্টে যাবে।
যাক বা না যাক, টালিগঞ্জে বিপুল আলোড়ন তুলেছেনছত্রাক’-এর পাওলি